ভাববার কথা
Reference: www.sciencefocus.com
একজন সুস্থ মানুষের যা অক্সিজেন চাই, সেটা পুরন করতে প্রায় ৭-৮ টা পরিণত বৃক্ষের প্রয়োজন।
ভাবুন।
Food for thought
A human breathes about 9.5 tonnes of air in a year, but oxygen only makes up about 23 per cent of that air, by mass, and we only extract a little over a third of the oxygen from each breath. That works out to a total of about 740kg of oxygen per year. Which is, very roughly, seven or eight trees’ worth.
গাছ লাগান
গাছ ফুল দেবে, শোভা দেবে। ভালো লাগবে।
গাছ ফল দেবে, ফল খাবেন।
আচ্ছা, অন্যভাবে বলি,
ইনভেস্টমেন্ট করুন।
বুঝতে পারছেন না? যখন বুজবেন, তখন হয়তো দেরি হয়ে যাবে।
খবর পেয়েই গেছেন, অক্সিজেনের বড় আকাল। বোতলে কিনতে হচ্ছে।
হয়তো এই জীবনেই দেখবেন, আপনার ছেলে মেয়েরা যখন বড় হবে, আর আপনি একটু বুড়ো, ওরা মাইনে পেলে আপেল নয়, এক বোতল অক্সিজেন নিয়ে আসছে বাবা ও মায়ের জন্যে।
সেবক এসেছিলেন একা আমাদের গ্রামে প্রায় পাঁচ পুরুষ মানে প্রায় ১৫০-২০০ বছর আগে, তখন মাহষরেখায় এস ডি ও অফিস। নিয়ে এসেছিলেন মাইতি বংশ, জনবাড় উত্তরে। সে বংশে এখন ১০০ জনের ও বেশি ও বাড়ছে। প্রায় একই গল্প আমাদের সবার, যদি একটু আমাদের রুট খুঁজতে যাই।
লোক বাড়ছে আরো বাড়বে। গাছ কমছে আরো কমবে। আপনি আমি তেমন কিছু করতে পারবোনা, তাও যদি হাত বাড়ান, তাহলে হয়তো এই দুর্দশার দিনটার আসাটাকে একটু দেরি করাতে পারবো।
আসুন না, সময় থাকতে একটু চেষ্টা করি।
আমার, আপনার বাড়ির পাশেই লাগবো গাছ। কোথাও একটু শোভা দেবে, কোথাও বা ফল, বা একটু ছায়া।
জায়গা নেই! ঠিক আছে লতা লাগবো, ঘরের বাইরে ও ভেতরে বা ছাতের উপর। যেখানেই হোক, লাগান একটু গাছ।
চার-পাঁচ রকম জায়গা ভাবছি আমরা:
১. গ্রামের বাইরে
২. গ্রামের সামনে
৩. বাড়ির সামনে
৪. পুকুর পাড়
৫. বাড়ির ভিতরে
কি কি গাছের কথা ভাবা হচ্ছে:
১. গ্রামের বাইরে : কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, পলাশ, কদম
২. গ্রামের সামনে: মেহগনি, দেবদারু, পাম (ফক্স টেল, রয়েল)
৩. বাড়ির সামনে : মানি প্ল্যান্ট, গন্ধরাজ ফুল, কামিনী, বেল, জুহী, টগর, অপরাজিতা লতা, কৃষ্ণকমল লতা, আলামান্দা লতা হলুদ, ক্রিপিং ফিগ (দেওয়াল বেয়ে), কার্টেন ক্রিপার (দেওয়াল বেয়ে), সেন্টেড রোজ, মিনিয়েচার রোজ, ?
৪. পুকুর পাড়: জবা (সাদা, হলুদ ইত্যাদি)
৫. বাড়ির ভিতরে : মানি প্ল্যান্ট, সিনগনিয়াম, স্পাইডার, স্নেক প্ল্যান্ট, ফিল্ডেনড্রোন,
আপনি কি করে হাতে হাত মেলাবেন?
(প্রায়োরিটি নেই, যেভাবে খুশি পড়ুন)
১. গাছ দান করুন অর্থ দিয়ে: একটা গাছ কেনা হবে, সেটা কিছুদিন রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। আপনি একটু আর্থিক সাহায্য করবেন, বাকি পাড়ার ছেলেরা দেখবে। কি গাছ লাগানো হবে সেটাও বলতে পারেন, যদি চান।
২. গাছ দান করুন গাছ দিয়ে: আপনি গাছও দিতে পারেন। একটা লিস্ট বানানো হয়েছে। সেটার মধ্যে বা একইরকম গাছ দিন বা গাছের বীজ। আপনার ঘরের বা চাষের থেকেও গাছ দিতে পারেন। গাছ দিতে পারেন আমাদের বা সরাসরি অন্য লোককে। আমরা লিখে রাখবো আপনার নাম কৃতজ্ঞতার জন্যে। সেটা একটা গন্ধরাজ লেবুও হতে পারে বা একটা নারকেল গাছ।
৩. জায়গা দিন গাছের জন্যে: আমাদের বলুন কি গাছ চাই-আমরা চেষ্টা করবো দিতে গাছ। আপনি লাগান ও সেটার পরিচর্যা করুন। গাছের ফুল ফল আপনি নিন ও লোকেদের দিন-আপনার খুশি। আরো, আপনি যদি না পারেন, আমরাও সাহায্য করবো পরিচর্যায় সাহায্য করতে।
৪. গাছ লাগতে এগিয়ে আসুন: আসুন আমাদের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে একসাথে গাছ লাগাই। অনেক দিনের ব্যাপার, একটু সময় পেলেই হবে।
৫. গাছ বাঁচান: আগাছা সাফ করতে এগিয়ে আসুন। গাছ বাঁচাতে এগিয়ে আসুন, পর্যবেক্ষন করতে এগিয়ে আসুন। হয়তো মাসে একদিন সময় চাইব বা দুমাসে একদিন। শুরুতে হয়তো একটু বেশী।
৬. গাছের খোঁজ দিন: নতুন ফুল, ফলের গাছ বা একটু সস্তায় গাছ যদি পাই, তাও আমাদের ও লোককে জানান।
৭. চাই বিশেষজ্ঞ: আমাদের গ্রামে চাষী অনেক। এনারাই আমাদের সমাজের ভীত। তাঁরাও হাত বাড়ান একটু গাছ বাঁচাতে, গাছ বাড়াতে আপনাদের অনুভব দিয়ে। আপনি বলুন আপনার জীবনের অভিজ্ঞতা, আমরা জানাবো বাকিদের।
৮. লিখুন গাছ নিয়ে: লিখুন কবিতা বা গান বা ব্লগ বা ভিডিও অথবা গাছের জীবন। আমরা প্রচার করবো আপনার লেখা, যতটা পারি।
৯. পরীক্ষা নিরীক্ষা: করতে চান, এক্সপেরিমেন্ট? লাগাতে চান আপেল, আঙ্গুর বা স্ট্রবেরি? আমাদের জানান, কি করতে চান। আমরা চেষ্টা করবো আপনাদের সাহায্য করতে যতটা পারি। অথবা আপনি জানান আপনার কোনো বিশেষ খোঁজ, সেটা পৌছে দেব বাকি গ্রামে বাকি লোকেদের কাছে। হোক সেটা সার তৈরি বা বীজ থেকে চারা।
১০. সামাজিক পরিবর্তন: গাছ নিয়ে পারকল্পনা? অর্গানিক সার তৈরি বা অর্গানিক শাক সবজি বাবনার্সারি খুলবেন। আমাদের বলুন, চেষ্টা করবো আরো বিশেষজ্ঞ দের সাথে মিলিয়ে দেবার ও যদি কোনো প্রশাসনিক আর্থিক বা ব্যবসায়িক সাহায্য পাওয়া যায় সেই সংক্রান্ত খবর দেবার। আমরা সাহায্য করবো আপনার পরিকল্পনাটাকে সার্থক করবার, নিস্বার্থে।
“গ্রামের নাম জানবাড় । সাধারণত দেখা যায় নদ বা নদী তীরবর্তী এলাকা গুলির নামের শেষে বেড় বা বেড়িয়া জুড়ে রয়েছে । বেড় শব্দ টির অর্থ বেষ্টনী , মানে ঘিরে রেখেছে । তাই উলুবেড়িয়া , বাঁশবেড়িয়া ইত্যাদি । বাংলা নদী প্রধান দেশ । প্রচুর এধরনের নাম আছে । এখন ব্যাপার হলো জান আর বাড় দুটি শব্দ কে ভেঙ্গে দেখা । দামোদর কিন্তু নদ । সে যাই হোক, দামোদর র কোন নিকাশি খাল র মুখ তথা চলিত শব্দে জানমুখ , একে ঘিরে যে গ্রাম _ তার নাম জানবাড় । কিছু কিছু নাম আছে যেগুলো কোন ও ঘটনা প্রধান , যেমন কোদাল ভাঙ্গাপোল, বালিহাইট _ এগুলোর ব্যাখ্যায় এখন যাচ্ছি না । বয়স্ক রা ভালো বলতে পারবেন । এই গ্রাম খানি_ ছায়ার ঘোমটা মুখে টানি _ হ্যা, একে একটি সাজ আমরা দোবো । একে গয়না পরাবো । রূপসী সাজিয়ে , এই বর্ষায় একে তুলে দোবো আপনাদের হাতে ঘরের মেয়ের মতো , হ্যা , গাছগুলোকে একটু আদর করুন । মানুষের জীবনের চেয়ে গাছের জীবন কম মূল্যের নয় । আগামী রোববার আমরা জানবাড় কোভিড কেয়ার এর পক্ষ থেকে গাছ লাগাচ্ছি । আপনাদের সহযোগিতা কাম্য ।” -Partha Maiti
“মাওলিনং( Mawlynnong)- মেঘালয়ের একটা ছোট্ট সাজানো গোছানো গ্রাম, এশিয়ার অন্যতম পরিছন্ন গ্রাম হিসেবে বিখ্যাত।
কারণ হিসেবে হয়তো ওখানকার ভৌগলিক অবস্থান হয়ে পারে। সে যাই হোক, ট্যুরিস্টদের ভিড় বেশ ভালই, এশিয়ার পরিছন্নতম গ্রাম দেখতে।
কথাটা তুললাম, সবাইকে আরেকটু আগিয়ে আসার জন্যে, আর একটু সজাগ করার জন্যে। এখানে যারা জড়ো হয়েছি সবাই নিশ্চই ভালো কিছু করার জন্যেই এসেছি… শুরুটা Covid দিয়েই না হয় হলো।
কোরোনা একদিন হয়তো যাবে। আমাদের গ্রুপ টা কি ভেঙে যাবে??? নতুন দার ( পার্থ মাইতি) কথা তুলেই বলছি.. অনেক কিছু করার আছে, অনেক কিছুই করতে পারি, আমাদের এই ছোট্ট গ্রাম টাকে সুন্দর করতে। না, মাওলিনং এর মত বিখ্যাত করার কথা বলছি না। তবে, এটুকু শুনে সবার হয়তো ভালই লাগবে – “বাঃ! তোমাদের গ্রাম টা তো দারুন সুন্দর। “
হতে পারে পাশের গ্রাম ও আমাদের দেখে কিছু করার চেষ্টা করছে। সেটাও বড়ো পাওনা।
কাজেই, ছোট ছোট ভাবনা। ছোট ছোট আলোচনা। ছোট ছোট কাজ। তবে সেই ছোট কাজেও সবাই কে আর একটু পাশে দরকার, রাজনৈতিক রং, club এর গণ্ডির বাইরে বেরিয়ে। মতানৈক্য থাকবে, কাজে বাধা থাকবে ( ওই যে নিউটনের তৃতীয় সূত্র – এখানেও প্রযোজ্য)। তবে তার মধ্যেও আগিয়ে যেতে হবে।
Covid এর সংক্রমণ একটু (হয়তো) কমেছে।
তারই মধ্যে আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ ‘বৃক্ষরোপণ’।
গাছ লাগানো হবে সামনের রবিবার। পুরো গ্রাম জুড়েই হবে। কিছুটা কাজ আগিয়েছে। এখনো অনেকটা বাকি। আবারো সবার কাছে অনুরোধ –আগিয়ে আসো। সরাসরি না পারলে পরামর্শ দাও। কোনটা ভালো, কোনটা খারাপ। আমরা অন্তত বুঝতে পারবো, আমাদের যাত্রায় তোমরা সাথে আছো।🙏🙏” -Hirak Maity
“সামনের রবিবার (২০ জুন) গাছ লাগানো হবে। ওরা বলে বৃক্ষরোপণ – অনেকট বইয়ের মতোা শোনায়। লতা, গুল্ম সবাই ভালো, শুধুমাত্র বৃক্ষই নয়। তাই আমি বলি – গাছ লাগানো।
তা, কোভিডের সাথে গাছ লাগানোর এত হিড়িক পড়লো কেন?
শুধু অক্সিজেনের জন্যে? বা শোভা বাড়াতে?
উত্তরগুলো ভুল নয়, কিন্তু অনেকে ভেবে থাকতেও পারেন, এটা কি দরকার, কোভিডের এই দুর্যোগের সময়?
এটা যে আমরা ভাবিনি, তা নয়। আমরা বেশীই ভাবছি। আসলে, একটা বড় কারণ হলো, সবাইকে একই-সাথে একিই-সুরে ভাবাতে চেষ্টা করা। একটা একতা ও সংবদ্ধতা (ইউনিটি ও ইন্টিগ্রিটি) বাড়ানোর চেষ্টা মাত্র। গুটি কয়েক লোকের ক্ষমতা সীমিত। সবাই যদি আশে পাশের লোকের হাত ধরেন, তার ফল অসীম, সে কোভিড হোক আর আমফন বা ইয়াশ, সব যুদ্ধই জয় হবে। এই হাতে হাত ধরার রাস্তাটা আলাদা আলাদা হতে পারে, তাই বিভিন্ন চেষ্টা-আরকি।
যাইহোক, এবার বলি গাছ নিয়ে।
গাছ লাগবো।
না, একদিনের তাগিদে নয়, হিড়িকেও নয়, লাগাতেই থাকবো। নিয়ম করে, অনিয়ম করে। নিজের ঘরে, বাইরে। বুদ্ধি করেও গাছ লাগবো যাতে গাছকে আগাছা মনে না নয়।
জায়গা চাইবো, গাছ লাগাতে। না, কোনো অধিকার নয়, নিঃশর্তভাবে। জায়গা ও আপনার থাকবে, গাছ ও আপনার। আপনি ই পাবেন ফুল, ফল, কাঠ, জ্বালানি। লোক চাইলে দেবেন বা দেবেন না, আপনার ইচ্ছে।
ভাবছেন কি করে আমরা দেব?
না, কেউ কোনো ম্যাজিক করছে না, সবই আপনারা করছেন, গ্রামবাসীরা। আমরা শুধু একটা সুতোয় গাঁথার চেষ্টা করছি মাত্র। এই টুকুই।
দুটো উদাহরণ দি।
আপনার জায়গা আছে, গাছ লাগানোর ইচ্ছে বা চেষ্টা বা সময় নেই। কেউ দিলে হয়তো লাগাবেন। আপনাকে কেউ বলেনি।
কারোর গাছ আছে, ফসল ও হয়, হয় বীজ। চাইলে হয়তো দেবেনও কিছু। কিন্তু কেউ চায়নি।
আমরা ওই শুধু চাওয়া-চায়ির কাজটা করে দিচ্ছি -একটু এগিয়ে। আর তেমন কিছু নয়।
ধরে নিন, আপনার বাড়ীতে অপরাজিতা ফুলের গাছ আছে বা সন্ধ্যা-মালতী l ফুল দেয়, বীজ হয়। একদিন বীজ উঠিয়ে ফেলুন, ওগুলো নিয়ে আমাদের দিয়ে দিন। আমরা কিছু করবো না, আপনার নাম দিয়ে বিলিয়ে দেব যত লোককে পারি। আমাদের যদি নাও দেন ঠিক আছে, পকেটে বাদামের মতো নিয়ে ঘুরুন। আর যেখানে পাবেন ছড়িয়ে দিন -চুপ চাপ। ২ মাস পর যখন ফুল দেখবেন, নিজেই চমকে যাবেন। একবার করেই দেখুন না।
আর একটু এগিয়ে ভাবছেন? গাছ থেকে চারা করুন, বাড়ির টবে বা উঠোনের কোনে। চারা দিন লোককে, সে ফুলের ই হোক বা ফলের।
শহরের লোকেরা একটু এগিয়ে গেছে, হয়তো গাছ নেই বলেই: ওরা আজকাল অনুষ্ঠানে গেলে গিফট-প্যাকেটে গাছ নিয়ে যায় অন্নপ্রাশন বা বিয়েবাড়ি। ” –Chandan Maity
প্রস্তুতি
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন, ২০২১
বনসৃজনের প্রস্তুতির পথে আমরা সবাই, আপনাদের সাথে।
আজ বাঁশ গাছ কাটা হলো, বাখারি দিয়ে গাছের বেড়া বানানোর জন্য।
বাঁশ গাছ দিয়েছেন:
১)সনাতন পাল
২)শ্যাম সামন্ত
৩) অবিনাশ মাইতি
প্রায় ৯০ টা গাছের বেড়া দেবার মতো বাঁশ কাটা হয়েছে। প্রায় ৮-৯ টা বাঁশ।
বাঁশের বাখারি প্রস্তুতিতে হাতে হাত লাগিয়েছেন:
১)সৌমিত্র সামন্ত
২)সনাতন পাল
৩)আদিত্য রং
৪)পল্লব দন্ডপাট
৫) অলোক মাইতি
৬)শুভ সী
৭)চন্দন বেরা
৮)জয়দ্বীপ মাইতি
৯)পার্থ মাইতি
১০)সুব্রত মাইতি
১১) গুরুপদ বর ( শ্রীকৃষ্ণ পুর)
নামের আগে পরে দেখবেন না, তবুও দেখুন ১১ নম্বর। গুরুপদ’দা পাশের গ্রামের হলেও এগিয়ে এসেছেন হাতে হাত লাগাতে। ভালো কাজও অনেকটা ছোঁয়াচে।
এই একসাথে কাজ করার কোনো তুলনা হয় না। আমরা শুধু কাজই করছি না, সম্পর্কের একটা নতুন ভাষা ও তৈরি করেছি। সে বলে বোঝানো যাবে না। আসুন একসাথে এগিয়ে সবাই -সামনের রবিবার।
বনসৃজনের প্রথম পর্ব।
মেগা না হলেও এটাকে আমরা মিনি-সিরিয়াল হিসাবে ভাবছি আপনাদের সাহায্য নিয়ে।
বরাবরের মতো, তালিকা বানিয়েছি এই কর্মযজ্ঞের।
তালিকায় ভুল থাকলে সেইটা অনিচ্ছাবশত, একটু দেখিয়ে দিন, শুধরে নেব।
আজ, বনসৃজনে গ্রামের যাঁরা হাতে-হাত মিলিয়েছেন:
সৌমিত্র সামন্ত, কার্তিক সামন্ত, বিশ্বরূপ গুছাইত, সম্যজীত গুছাইত, মিনতি গুছাইত, হেমন্ত গুছাইত, শুভ সী, সুজয় সী, হেমন্ত সামন্ত, সৌরভ সী, হীরক মাইতি, সুব্রত মাইতি, পার্থ মাইতি, অবিনাশ মাইতি, জয়দ্বীপ মাইতি, নিশিকান্ত মাইতি, চন্দন বেরা, সনাতন পাল, স্রবনা ভৌমিক, পিয়ালী সামন্ত, সমাপিকা সামন্ত, সুদীপা সামন্ত, পল্লব দণ্ডপাট, জ্যোতির্ময় দণ্ডপাত, কুন্তল সামন্ত, অচিন্ত্য বাউর।
আমাদের ছোট ছোট হিরো:
বৈসম্পায়ন গুছাইত (বাবা: বিশ্বরূপ), শতদ্রু মাইতি (বাবা: হীরক)
এছাড়াও উল্লেখযোগ্য ভাবে, আমাদের মধ্যে ছিলেন: অরুণ কর (বিশিষ্ট সমাজসেবী), জয়ন্ত মন্ডল (বিশিষ্ট অভিনেতা), গুরুপদ বর (শ্রীকৃষ্ণপুর) যাঁরা আমাদের কাজে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন ও হয়তো অনুপ্রেরিত হয়েওছেন।
এই বনসৃজনে গ্রামের যাঁরা কাঁধে-কাঁধ মিলিয়েছেন আর্থিক সাহায্য (financial) ও সম্পদ (resource) দিয়ে:
সুমন্ত সামন্ত, চন্দন বেরা, কুন্তল সামন্ত, সুব্রত মাইতি, পার্থ মাইতি, রজনী মাইতি, পল্লব দন্ডপাঠ, চন্দন মাইতি, মলয় ভৌমিক, শুভ শী, বিশ্বরূপ গুছাইত।
বনসৃজন কাজে:
একত্রিত আয়: ২৭৫০ টাকা
সমস্ত ব্যায়: ২০১০ টাকা
জবাবদিহি নয়, তাও যেহেতু আমরা বিশ্বাসের অঙ্গীকারে প্রাতিজ্ঞাবদ্ধ , তাই সমস্ত বিশদ (ডিটেইল) আছে এইখানে: Google Drive Link
আমাদের গাছের সমাহারে ছিল:
কৃষ্ণচূড়া -৪০, মেহগীনি -৩০, ছোটো পাতা মহোগিনি -৫, রাধাচূড়া -১৭, কদম -৩, পলাশ -১২, মিনি রঙ্গন -১৪, টগর -৪
আমরা খুব শীঘ্রই বনসৃজনের দ্বিতীয় পর্ব টা শুরু করে দেব ও আরো বেশ কিছু জায়গায় গাছ লাগবো আপনাদের সাথে -গ্রামের ভিতরেই।